Wellcome to National Portal
Main Comtent Skiped

Title
দিরাইয়ে জলমহাল থেকে অবৈধভাবে মাছ আহরণ, ৮ জন আটক
Details
সুনামগঞ্জের দিরাই পৌরসভার ভরারগাঁও গোফরাঘাট জলমহালে অবৈধ অনুপ্রবেশ করে মাছ লুটের ঘটনা ঘটেছে। কচুয়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি লংকেশ্বর দাস খোকার অভিযোগ, বুধবার (৫ মার্চ) সকাল ৭টার দিকে সংঘবদ্ধভাবে প্রায় দুই হাজার লোক জলমহালে প্রবেশ করে অনুমান এক কোটি টাকার মাছ লুট করে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী লংকেশ্বর দাস খোকা তার এজাহারে উল্লেখ করেন, কচুয়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি ১৪২৮-১৪৩৩ বাংলা পর্যন্ত সরকারি নিয়ম অনুযায়ী জলমহালের ইজারা গ্রহণ করে এবং নিয়মিত খাজনা, ভ্যাট পরিশোধ করে মাছ সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা চালিয়ে আসছিল। গত দুই বছর ধরে জলমহালটিকে মাছের অভয়ারণ্য হিসেবে রাখা হয়েছিল।
কিন্তু বুধবার সকালে দিরাই থানার কল্যাণী গ্রামের  ১।জীবন রায় (৪৫), একই থানার চন্দ্রপুর গ্রামের ২। এরশাদ মিয়া (৩২) ও ৩। হুমায়ূন (২০), বাউসী গ্রামের ৪। বাধন বৈষ্ণব (২২), ৫। সমিরন বৈষ্ণব (১৯) ও ৬। মৃদুল বৈষ্ণব (১৯), ভাঙ্গাডহর গ্রামের ৭। পিন্টু তালুকদার (৩২) ও ৮। মৃদুল দাস (২৮), স্বরমঙ্গল গ্রামের ৯। আব্দুল তাহিদ (৪০), একই গ্রামের ১০। রমজান (৪০), ১১। রায়হান (৩৮), ১২। দবির মিয়া (৩৫), ১৩। ছালিক মিয়া (৩৮), ১৪। সম্রাট মিয়া (৫৫), ১৫। সাজিদ মিয়া (২৭), ১৬। হামিদ মিয়া (৪০), ১৭। জিয়াবুর (৪০), ১৮। ফরদি মিয়া (৪৫), ১৯। নাহিদ (২৭), ২০। মোহন মিয়া (৪০), ২১। কায়েছ মিয়া (২২) এবং ঘাগটিয়া গ্রামের ২২। রজত মিয়া (৩৫) - এজাহারনামীয় এই ২২ জনসহ আরও প্রায় দুই হাজার অজ্ঞাত ব্যক্তি জলমহালে প্রবেশ করে অবৈধভাবে মাছ ধরতে শুরু করে। জলমহালে থাকা আইড়, বোয়াল, রুই, কাতলা, কার্পু, গ্রাস কার্পসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ অবৈধভাবে ধরে নিয়ে যায় তারা।
সংবাদ পেয়ে দিরাই থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযান চালিয়ে ১। জীবন রায়, ২। এরশাদ মিয়া, ৩। হুমায়ূন, ৪। বাধন বৈষ্ণব, ৫। সমরিন বৈষ্ণব, ৬। মৃদুল বৈষ্ণব, ৭। পিন্টু তালুকদার ও ৮। মৃদুল দাসকে গ্রেফতার করে এবং তাদের মাছ ধরার সরঞ্জামসহ থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জসহ থানা পুলিশের একাধিক টিম এবং উপজেলা এসি ল্যান্ড অফিসার দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।
এ ঘটনায় দিরাই থানায় দণ্ডবিধি আইনের ১৪৩/৪৪৭/৩৭৯/৩৪ ধারা অনুযায়ী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় এজাহারনামীয় ২২ জনসহ অজ্ঞাতনামা আরও দুই হাজার ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জেলার অন্যান্য বিল থেকে যারা অবৈধভাবে মাছ আহরণের চেষ্টা করছেন, তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Images
Attachments
Publish Date
06/03/2025
Archieve Date
06/04/2025