সুনামগঞ্জের দিরাই থানার কুলঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ একরার হোসেন চৌধুরীর ভাই ফজলু মিয়া (৫৫) হাতিয়া মোকামবাড়ি মসজিদে নামাজ পড়তে বসাকে কেন্দ্র করে গত ২৯ মার্চ দুপুর দেড়টায় স্থানীয় লিটন মিয়া পক্ষের রবিউল ইসলামের (২৫) সাথে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি সমাধান করে দেন। এই ঘটনাসহ হাতিয়া উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটি গঠন সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে গত ৩০ মার্চ বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে দিরাই থানাধীন হাতিয়া গ্রামের রাস্তায় কুলঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পক্ষের লোকজন স্থানীয় লিটন মিয়া পক্ষের লোকজনকে আক্রমণ করে। ঐ সময় চেয়ারম্যান পক্ষের ২/৩ জন দেশিয় তৈরি পাইপগান দিয়ে ৩/৪ রাউন্ড গুলি করে। এতে লিটন মিয়া পক্ষের ৭/৮ জন জখম প্রাপ্ত হন। এছাড়া চেয়ারম্যান পক্ষের লোকজন রামদা, লোহার রড, বাশেঁর লাঠি দিয়ে পাশের মোকামবাড়ি বাজারে লিটন মিয়া পক্ষের লোকজনের ৬টি দোকান ভাংচুর করে।
এ ঘটনায় দিরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রতন চন্দ্র দেবনাথের নেতৃত্বে থানা পুলিশের একাধিক টিম অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে ১টি একনলা অবৈধ বন্দুক উদ্ধার করা হয়। এ সময় ২ জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃরা হলেন দিরাই থানার হাতিয়া গ্রামের আব্দুল মনাফের ছেলে মোঃ দবির মিয়া (৫৫) এবং মোঃ দবির মিয়ার ছেলে মোঃ জাকরান মিয়া (২১)। আজ রবিবার (৩১ মার্চ ২০২৪ খ্রি.) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে গ্রেফতারকৃতদের বসতঘরে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এই ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের বিরেুদ্ধে দিরাই থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS