শিরোনাম
জামালগঞ্জে রিকশা চালক হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন, আসামি গ্রেফতার
বিস্তারিত
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ থানাধীন বরাউরা হাওরে রিকশা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে চালক আকরাম হোসেন (১৭) হত্যার ঘটনায় রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত রিপন আহমদ (৩৪) গ্রেফতার হয়েছে। রিপন জামালগঞ্জ থানার পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামের আলী আহমদের ছেলে। তাকে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হবে।
গত ১১ জানুয়ারি দুপুরে আকরাম তার ভাড়ায় চালিত রিকশা নিয়ে সুনামগঞ্জের মোহাম্মদ এলাকার ভাড়া বাসা থেকে বের হন। রাত ৯টার দিকে জামালগঞ্জের ফেনারবাক ইউনিয়নের বরাউরা হাওরের একটি সড়কে তাকে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করা হয়। পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে জামালগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে ১২ জানুয়ারি ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আকরামের মৃত্যু হয়।
নিহতের বাবা মো. রফিকুল ইসলাম ঐ ঘটনায় জামালগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করলে একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়। মামলার পরপরই পুলিশ ঘটনাটির রহস্য উদ্ঘাটন এবং আসামি গ্রেফতারে অভিযান শুরু করে। জামালগঞ্জ থানার এসআই শামীম কবিরের নেতৃত্বে একটি টিম সুনামগঞ্জ পৌরসভার মোহাম্মদপুর এলাকার কাউছারের কলোনি থেকে আসামি রিপন আহমদকে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে গ্রেফতার করে। রিপন আহমদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি ঘটনাস্থল থেকে এবং নিহত আকরামের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি সিলেটের গোলাপগঞ্জ থেকে উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিকভাবে জানা যায়, আর্থিক সংকটে থাকা রিপন ঋণ পরিশোধের জন্য আকরামের রিকশা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় সে অতিরিক্ত ভাড়ার প্রলোভন দেখিয়ে আকরামকে জামালগঞ্জের দিকে নিয়ে যায়। রাত ৯টার দিকে বরাউরা হাওরের একটি নির্জন সড়কে পৌঁছালে সে আকরামকে রিকশা থামাতে বলে। এরপর আকস্মিকভাবে ধারালো ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে। আহত আকরাম বাঁচার চেষ্টা করলে সে তার গালে ও গলায় ছুরিকাঘাত করে। এরপর আকরামকে মৃত ভেবে রাস্তার পাশে কাদায় ফেলে দেয়। রিকশাটি কাদা থেকে তোলার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। পালানোর সময় সে আকরামের মোবাইল ফোনটি নিয়ে যায় এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি ধানক্ষেতে ফেলে দেয়। পরে সে সুনামগঞ্জ শহরে গিয়ে আত্মগোপন করে।