সুনামগঞ্জ সদর থানার মঈনপুর গ্রামের মুদি দোকানদার আমির উদ্দিনকে (৫০) গত ৩০ মার্চ দিবাগত মধ্যরাতে দোকানে ঢুকে দুর্বৃত্তরা ধারালো ছুরি দিয়ে গলায় আঘাত করে হত্যা করে। এ ঘটনা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। এই ঘটনায় আমির উদ্দিনের স্ত্রী বাদি হয়ে গত ৩১ মার্চ সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় অভিযোগ দিলে একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়।
মামলা রুজু হওয়ার পর জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় মামলার তদন্তকারী অফিসার মোঃ আনিসুর রহমান আসামিদের শনাক্ত করাসহ আসামিদের গ্রেফতারে একাধিক স্থানে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে মঈনপুর গ্রামের আব্দুর রউফের ছেলে মজনু মিয়া (২৬) এবং দোয়ারাবাজার থানার ভোজনা উমরপুর গ্রামের ফকির শাহের ছেলে রমজানকে (১৩) গ্রেফতার করা হয়।
আটককৃত আইনের সাথে সংঘাতে জড়িত শিশু রমজান বর্ণিত হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক জবানবন্দি প্রদান করে। জবানবন্দিতে সে হত্যাকান্ডের পরিকল্পনাসহ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত অন্যান্য আসামিদের নাম প্রকাশ করে। প্রদত্ত জবানবন্দির ভিত্তিতে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আসামি জাহিদুল ইসলামকে গত ৪ মার্চ রাত পৌনে ১০টার দিকে মইনপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
ভিকটিম আমির উদ্দিন তার মুদি দোকানে ডিজেল বিক্রি করতো। ডিজেল কেনা বেচাকে ক্রেন্দ্র করে আসামিদের সাথে আমির উদ্দিনের মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। এতে আসামিরা আমির উদ্দিনকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মোতাবেক গত ৩০ মার্চ দিবাগত রাত অনুমান আড়াইটা থেকে সোয়া ৩টার মধ্যবর্তী সময় আসামিরা দোকানে ঢুকে ধারালো ছুরি দিয়ে আমির উদ্দিনের গলায় আঘাত করে হত্যা করে।
এ বিষয় আজ শুক্রবার (৫ এপ্রিল ২০২৪ খ্রি.) বিকাল ৩টায় সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। বিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) রাজন কুমার দাস মামলার ঘটনার বিষয় বিস্তারিত তুলে ধরেন। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সুনামগঞ্জ সদর সার্কেল) জাহিদুল ইসলাম খান, সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ খালেদ চৌধুরীসহ সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস