সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার রণজয় চন্দ্র মল্লিক ও দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ বদরুল হাসান-এর নেতৃত্বে এসআই মোহাম্মদ আতিয়ার রহমান, এসআই মোহাম্মদ সম্রাজ মিয়া ও এসআই মুহাম্মদ আসলাম সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় দুটি পৃথক অভিযান পরিচালনা করে ৩৬টি ভারতীয় গরু ও ১টি ইঞ্জিন চালিত স্টিলবডি নৌকাসহ ৮ (আট) জন গরু চোরাকারবারিকে গ্রেফতার করেন। গতকাল শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রি.) রাত ৯টায় দোয়ারাবাজার থানাধীন গিরিশনগর মসজিদের সামনে মহব্বতপুর থেকে দোয়ারাবাজারগামী পাকা রাস্তার উপর অভিযান পরিচালনা করে ১। মোঃ জামাল মিয়া @ জালাল (৫০), পিতা-মৃত আব্দুল মন্নাফ, ২। মোঃ আলা উদ্দিন @আলাল (৩০), পিতা-মৃত মখলিছ আলী, ৩। মোঃ বাবুল হোসেন (২৮), পিতা-মোঃ ছোয়াব আলী, সর্বসাং-পানাইল নতুনপাড়া, ৪। আব্দুল বাছির মিয়া (৩৮), পিতা-সৈরত আলী, সাং-ভবানীপুর (জাঙ্গালা পাড়া), সর্ব থানা-দোয়ারাবাজার, জেলা-সুনামগঞ্জদের আটক করেন। এ সময় তাদের হেফাজতে থাকা ১৪টি বিভিন্ন রং ও সাইজের ভারতীয় গরু উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামিদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাত ১১টায় দোয়ারাবাজার থানাধীন টিলাগাঁও সাকিনস্থ খাসিয়ামারা নদীর নৌকাঘাটে অভিযান পরিচালনা করে ৫। মোঃ রাদেন মিয়া (২২), পিতা-মোঃ আমীর হোসেন, সাং-চানপুর (আবরহাটি), থানা-জামালগঞ্জ, ৬। আব্দুল কাদির (২৭), পিতা-মৃত রুহুল আমিন, সাং-আন্ধাইরগাঁও, ৭। বাচ্চু খান (৪৫), পিতা-মোঃ করিম খান, ৮। মোঃ আফসর উদ্দিন (৫০), পিতা-মৃত লোকমান শেখ, উভয় সাং-বাঘাহানা, সর্ব থানা-দোয়ারাবাজার, সর্ব জেলা-সুনামগঞ্জদের আটক করা হয়। আটককৃত আসামিদের হেফাজত থেকে ২২টি ভারতীয় গরু এবং গরু পরিবহনে ব্যবহৃত ০১টি ইঞ্জিন চালিত স্টিলবডি নৌকা উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়। উদ্ধারকৃত সর্বমোট ৩৬টি ভারতীয় গরুর আনুমানিক মূল্য ২১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। গ্রেফতারকৃত আসামিগণ চোরাচালানের মাধ্যমে বাংলাদেশে আনা ভারতীয় গরু বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নিজেদের হেফাজতে রাখায় তাদের বিরুদ্ধে দোয়ারাবাজার থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামিদেরকে পুলিশ স্কটের মাধ্যমে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস